সাদ্দাম হোসেন
সময়ের সাহসী সাংবাদিক কবির শাহ্ দুলালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা





সময়ের সাহসী সংবাদকর্মী কবির শাহ্ দুলালের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার করায় সাইবার ক্রাইম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলা নং ৭০/২১,
মামলা সূত্রে জানা যায় ১নং আসামি সেকান্দর হোসাইন নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে উপরে ক্যাপশন দিয়ে একাধিকবার শেয়ার করে সাইবার ক্রাইমে অপরাধ করেছেন।২নং আসামি মাহবুব পলাশ খবরিকা ২৪ ডটকম এ মিথ্যা অপপ্রচার করে নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে শেয়ার করেছেন।তারা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য বিহীন ও কবির শাহ্ দুলালের কোন বক্তব্য না নিয়ে সাজানো মিথ্যা অপপ্রচার করেছে।ভুয়া সাংবাদিক,প্রতারক চাঁদাবাজসহ অনেক মিথ্যা অপপ্রচার করে।ইতিমধ্যে মাহবুব পলাশ ভুল স্বীকার করেছেন ম্যাসেঞ্জারেও ভুল স্বীকার করেছেন।৩নং আসামি ও ৪ নং আসামি অনলাইনের মিথ্যা অপপ্রচারকে কপি করে দেশের স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিকে মিথ্যা প্রতিবেদন করে বাদীর মানহানি করেছেন,এরাও নিজের আইডিতে শেয়ার করেছেন,৫নং আসামি মিথ্যা সংবাদকে শেয়ার করেন উপরে রং লাগানো ক্যাপশন লিখে।
কবির শাহ দুলাল বলেন,আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি আইন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হতাম।তারা লিখেছেন আমি প্রতারক,দেশের কোন আদালতে আমি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছি?তারা আদালতে প্রমাণ করুক।তারা আরো লিখেছেন আমি কোন অনলাইন,দৈনিক কিংবা টেলিভিশনে কাজ করি না।গত ৫ বছর সংবাদকর্মী হিসেবে দেশ-বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছি, পরিবেশ সাংবাদিকতায়ও দারুণ ভূমিকা রেখেছি।তারা আরো লিখেছেন আমি আইডি কার্ড বানিয়ে গলায় ঝুলিয়েছি,তাহলে তারা আদালতে প্রমাণ করুক।সরকারী রেজিষ্ট্রেশনকৃত জাতীয় দৈনিকে কাজ করতেছি,আমি আদালতের প্রতি শতভাগ আস্থাশীল।আদালত যা বিচার করেন আমি মাথা পেতে নিব।
সরেজমিনে আরো জানা যায়,চট্টগ্রাম জেলার সময়ের সাহসী এক সংবাদকর্মী কবির শাহ দুলাল,স্নাতক পাশ করে চট্টগ্রাম আইন কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য করে সফলতা লাভ করেন।সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্টান স্কুল মসজিদ এবাদতখানা কমিউনিটি ক্লিনিকের ম্যানেজিং কমিটিতে অতি সুনাম কুড়িয়েছেন,২০১৬ সালে সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক,জাতীয় দৈনিক বিশ্ব মানচিত্র ,দৈনিক একুশের বাণী,দৈনিক মাতৃছায়ায় কাজ করেছেন। বর্তমানে স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ও চ্যানেল এস এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যায় অনিয়ম তুলে ধরে বাহবা কুড়িয়েছেন কবির শাহ্ দুলাল।পরিবেশ সাংবাদিকতায়ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন।বিগত জাতীয় নির্বাচন,চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, উপনির্বাচন ও মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌরসভা নির্বাচনসহ অনেক নির্বাচনে সাংবাদিক পর্যবেক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাইবার ক্রাইম মামলা নং ৭০/২১ চট্টগ্রাম সূত্রে আরো জানা যায়,কবির শাহ্ দুলালের সংবাদ পরিবেশনে কিছু দুর্নীতিবাজের ক্ষতি হয়েছে,তাই তারা ২০১৯ সাল হতে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামিকে প্ররোচিত করে কবির শাহ দুলালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করিয়েছে,সকল মামলা হতে পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্ট ও মাননীয় আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণীত হয়েছে।এসব মামলায় কিছু করতে না পেরে এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে সরকারী জায়গা দখল,নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা কিভাবে পেল দুদক কর্তৃক তদন্ত করলে সত্যতা বের হয়ে আসবে।দুদকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন,চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় দেশের স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টার হয়ে স্থানীয় থানাকে ব্যবহার করে দালালী,জায়গা দখল, পাহাড় দখল,বিভিন্ন কারখানা হতে মাসিক মাসোহারা নিয়ে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে নেয়ার তথ্য পাচ্ছি।তবে তদন্ত করা হচ্ছে সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।
অপকর্মকারীরা নিজেদের অভিযোগ আড়াল করতেই সৎ ও সাহসী সাংবাদিকদের কোনঠাসা করতেই এমন অপপ্রচার করে বলে জানা যায়।সাইবার ক্রাইম আদালত চট্টগ্রাম গত ১১/০৮/২০২১ ইং ৭০/২১ মামলাটি কাউন্টার টেরিরিজমকে আগামী ৩০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিক কবির শাহ দুলাল বলেন,আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে গাড়িতেও হামলা করিয়েছিল।তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে আমার জীবনহানীর শংকা তৈরী করেছেন।কবির শাহ দুলাল আরো বলেন,আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয় ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।