জসিম উদ্দিন,বাঁশখালী
বাঁশখালীতে ইটভাটার কালো ধোঁয়া পরিবেশের ধ্বংস ডেকে আনছে





বাঁশখালীতে ইট ভাটার কালো ধোঁয়া থামাতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর!অভিয়ানে তোয়াক্কা নেই ইটভাটা মালিকের।মানছে না হাইকোর্টের আদেশ।বাঁশখালীতে অবৈধ ইট ভাটা গুঁড়িয়ে ও ছিদ্র করে দেয়ার পর মেরামত করে পুরোদমে চলছে গবীর বনজঙ্গলের কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো।
বিগত ১০ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার সকালে প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে জয়নাল আবেদনি জন্টুর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম ব্রিকস,জামাল আহমেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম 2 ব্রিকস, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ছোটনের মালিকানাধীন খাজা আজমীর ব্রিকস, এবং মতুর্জা আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন চৌধুরী ব্রিকস এই চারটি ইটভাটায় অভিয়ান পরিচালানা করা হয়েছিল সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে।
(১) জয়নাল আবেদনি জন্টুর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম ব্রিকস,(২)জামাল আহমেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন মেসার্স এম বি এম 2 ব্রিকস, (৩) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ছোটনের মালিকানাধীন খাজা আজমীর ব্রিকস এই তিনটা ইট ভাটা ছিদ্র করে দেয়া হলেও বর্তমানে সেগুলো নতুন করে সাজিয়ে ও মেরামত করে পুনরায় চলছে ইট পুড়ানোর কার্যক্রম।
একদিকে যেমন সরকারি নিয়ম লংঘন করে পোড়ানো হচ্ছে ইট, অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চলাচ্ছে ইট ভাটা। সেই সাথে দিন দিন ক্ষতির সংখ্যা বেড়েই চলছে পরিবেশের, কমে যাচ্ছে ফসলী জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালিক পক্ষ প্রথমে ক্যামরা দেখে হুমকি দিয়ে বলে তোমাকে কে তুলতে বলল আমাদের এই ইট ভাটার ছবি। একবার এসে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এইবার চা নাস্তা খেয়ে চলে যাও এখান থেকে।
মেসার্স এম বি এম ব্রিকসের মালিক জয়নাল আবেদনি জন্টু মুটোফোনে বলেন, আমি অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে আমি একটা অভিয়ানে আছি আপনিও চাইলে আসতে পারেন। তবে তিনি নিজ থেকে প্রশ্ন করে বলল আপনাকে কে অনুমতি দিল এখানে এসে এগুলো দেখতে। আপনি যা যা দেখলেন রিপোর্ট করে নেন সমস্যা নাই বাকিটা আমি দেখবো।অন্য ইট ভাটার মালিকের সাথে যোগায়োগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছিদ্র করে দেয়ার কিছু দিন পরই উক্ত ছিদ্র গুলো মেরামত করে ইট পুড়ানো শুরু করে দিয়েছে। আমাদের ফসলী জমি থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমাদের ফসলী জমি গুলো থেকে এই ভাবে মাটি নিয়ে যায় তাইলে আমরা খাবো কি।
অন্যদিকে আমাদের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ইট ভাটার কালো ধোঁয়া থেকে।
অন্য দিলে ইট বোঝাই করা ট্রাক গুলোর জন্য আমাদের রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষাকাল আসলেই আমরা চলাচল করতে পারবো না।
তৎকালীন উক্ত অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন,এইবার অভিযান পরিচালনা করে ইট ভাটা গুলো সম্পুর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারকে কল দেয়া হলেও পাওয়া যায়নি।