কেফায়েতুল্লাহ কায়সার : সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম সাগর পথে রোগীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ২০০৮ সালে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সী-এ্যম্বুলেন্স দেয়া হয়। যার তৎকালীন মূল্য ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অধীনে থাকা একটি এ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সহ এই সী এ্যাম্বুলেন্সটিতে ১১ বছরে একদিনের জন্যও সেবা পয়নি সন্দ্বীপের রোগীরা। এ ব্যাপারে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাঁদেরকে শুধু সী-এ্যাম্বুলেন্সটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এ্যাম্বুলেন্সটির জন্য চালক ও জ্বালানির কোন বরাদ্দ তাঁদেরকে দেয়া হয়নি। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার চিঠি প্রেরণ করেছেন কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত পাননি বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম। এদিকে এর কিছুদিন পর ২০১৫ সালে সন্দ্বীপের রোগীদের জন্য নিরাপদ সাগর পাড়ি দিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা মূল্যের আরেকটি সী এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। এই সী এ্যাম্বুলেন্সটি ছিল আরো বিলাশবহুল ও আরো আধুনিক মানসম্মত সী এ্যাম্বুলেন্স। এই সী এ্যাম্বুলেন্সটি ছিল উপজেলা প্রশাসনের অধীনে। একইভাবে গত ৪ বছরে একদিনের জন্যও সী এ্যাম্বুলেন্সটিতে সেবা পায়নি সন্দ্বীপের কোন রোগী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হুদাও বললেন একই কথা। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় তাঁদেরকে শুধু সী-এ্যাম্বুলেন্সটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এর চালক ও জ্বালানির কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার চিঠি প্রেরণ করেছেন কিন্তু কোন প্রকার সিদ্ধান্ত পাননি বলে জানান এই প্রতিবেদককে। সন্দ্বীপের রোগীদের নিরাপদ সাগরপাড়ি দেওয়ার জন্য দুই মন্ত্রণালয় থেকে কোটি টাকা মূল্যের দু’টি সী-এ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন সরকার। কিন্তু চালক ও জ্বালানির অভাবে দু’টি সী-এ্যাম্বুলেন্স অযত্বে অবহেলায় সাগর কূলে নষ্ট হতে চলেছে। বিষয়টি জানতে স্থানীয় সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোগীদের পারাপারের জন্য দুই পাশে স্ট্রেচার ও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে আর সী-এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি শীঘ্রই সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান।
কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুট : ওঠা-নামায় রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

Total Views :
2,685




.